পড়া মনে রাখার উপায়

অনেক ছাত্রের অভিযোগ হলো অনেক পড়ার পরও পড়া মনে থাকে না। পড়া মনে রাখার উপায় আমাদের জানা দরকার। পড়া মনে না থাকার কারণে হতাশায় ভুগে না এমন ছাত্র হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কিছু সহজ কৌশল আছে যেগুলো আপনি মেনে কাজ করতে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। তবে চলুন আজকে আমরা জানার চেষ্টা করি সে সম্পর্কে

পড়ার আগে ১০/১৫ মিনিট হাঁটুন
পড়তে বসার আগে ১০ মিনিট হাটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে আপনার মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাতে পড়া মনে রাখতে অনেক বেশি সহজ হয়।

পড়ার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা
যে বিষয়টি আপনি পড়বেন তার প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। কিংবা আকর্ষণীয় উপায়ে আপনাকে পড়তে হবে। তাহলে পড়া বেশি মনে থাকবে।

কালারিং মার্কার পেনে দাগিয়ে পড়া
অনেক ছাত্র আছেন যারা পড়া দাগিয়ে পড়েন। এটা অন্যতম একটি ভালো মাধ্যম পড়া মনে রাখার। মার্ক করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। পাশাপাশি এর উপর ব্রেইনের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায় যা পড়াকে মনে রাখতে সহায়তা করে।

লিখে লিখে পড়ার অভ্যাস করা
যে কোনো জিনিস পড়ার সাথে সাথে লিখলে বা ছবি আঁকলে পড়ার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ বাড়ে। নিউরো সায়েন্সের মতে, কিছু লিখলে বা ছবি আঁকলে ব্রেইনের অনেক জায়গা দখল করে এবং স্থায়ীভাবে মিমরিতে রুপান্তরিত করে ফেলে। ফলে পড়াটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সঠিক সময় নির্বাচন করা
কোন সময় পড়লে আপনার পড়া মনে থাকে সেই সময়টা খুঁজে বের করুন। সারাদিন রাত পড়লে আপনার পড়া বেশি মনে থাকবে তা কিন্তু নয়। কারণ সবসময় ব্রেন একইভাবে কাজ করতে পারে না। গবেষণায় জানা যায় যে, বিকালে আমাদের ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালে বা সন্ধ্যায় অনেক বেশি উপকারি।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
গবেষণা বলে আমাদের ব্রেইন যে কোন তথ্য মনে রাখে বা সৃতিতে ধারন করে ঘুমানোর সময়টিতে। সে ক্ষেত্রে পড়া মনে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। তাই প্রতিটা সুস্থ্য মানুষ ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। তার থেকে কম ঘুমালে পড়া মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাবে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here